সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০১৪

এই দেশে যেমন নোবেল পাওয়া দোষের তেমনি এভারেষ্ট জয় করাও দোষের/Abul Mal

নীল আমর্স্টং চাঁদ জয় করার পর একটা বিতর্ক সৃষ্টি হয় যে নীল আসলে চাঁদ জয় করেননি।চাঁদে দাড়িয়ে
যে ছবি গুলো নীল আমর্স্টং দেখিয়েছিলেন সেটা নাকি আমেরিকার এক গোপন জায়্গা,কেউ বলেছিলেন ছবিগুলো দক্ষিন মেরুর বরফের উপর তোলা ছবি।
বিতর্ক আরো জোরালো হয় যখন ছবিগুলোতে দেখা যায় চাঁদে দাড়িয়ে থাকা নীল আমর্স্টং এর পেছনে থাকা বিজয় পতাকা বাতাসে দুলছে। চাঁদে বাতাস নেই কিন্তু কি অদ্ভুত ভাবে সেই পতাকা দুলছে !
এখনো সেই চাঁদ জয় নিয়ে বিতর্ক চলছে। এই বিতর্কের সাথে আমেরিকার সম্মান জড়িত,কারন পৃথিবী থেকে প্রথম আমেরিকা চাঁদ জয় করে।
মুসা ইব্রাহীম প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেষ্ট জয় করেন,এভারেষ্ট বিজয়ী তালিকায় প্রথম বাংলাদেশের নাম উঠে। কিন্তু বর্তমানে এটি নিয়ে বিতর্ক চলছে,মূসা নাকি এভারেষ্ট জয় করেননি। মুসা ইব্রাহীম যে এভারেষ্ট চূরার ছবি দেখিয়েছেন সেটা নাকি চূড়া থেকে ৭ হাজার ফিট নিচের চবি। মুসা ইব্রাহীমের নাম " নেপাল পর্বত " লিষ্টে নেই। এই একটি কারন নিয়ে গত দুই দিন মূসা ইব্রাহীমের চৌদ্ধ গুষ্ঠি উদ্ধার করছে সবাই।
এভারেষ্টে দুই ভাবে উঠা যায়,এক নেপাল থেকে দুই তিব্বত থেকে। যারা তিব্বত থেকে এভারেষ্টে উঠে তাদের নাম " নেপাল পর্বতে " উঠে না। মূসা ইব্রাহীল্ম তিব্বত দিয়ে উঠে ছিলেন।
আমেরিকানরা সেই ৬০ বছর ধরে তর্ক করে আসছে তারাই প্রথম চাঁদে গিয়েছে। আর আমরা দুই দিন হল না মূসার চৌদ্ধ গুষ্ঠি উদ্ধার করছি। একটু সময় নেব তো নাকি আসলে ঘটনা সত্যি কিনা?মূসার নিজের যুক্তি প্রমান কি?
তা না করে সবাই সমালোচনা করে যাচ্ছি।
এই দেশে যেমন নোবেল পাওয়া দোষের তেমনি এভারেষ্ট জয় করাও দোষের।
জানিনা আগামীতে নতুন প্রজন্ম কোন কিছু বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে কিছু অর্জন করে কিনা।
সেই কথাটা মনে পড়ছে- যে দেশে গুনীজনকে সম্মান জানানো হয় না,সেই দেশে গুনীজনের জন্ম হয় না।


 লিখাঃ Abul Mal

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন