শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৪

Nazmul huda

এতকিছুর পরও অনেকে শাহবাগ

নিয়ে দিস্তা দিস্তা পান্ডিত্য ফলিয়ে যাচ্ছেন। বরফের
সুঁইয়ে স্বপ্নের সুতা পরিয়ে ইনিয়ে বিনিয়ে বুঝাচ্ছেন,
শাহবাগ ছিলো হ্যানত্যান!!! কত স্বপ্ন ছিলো! আহা, এই
জাতির জাগরণের প্রতীক আর সমস্ত
বঞ্চনা থেকে মুক্তির একটা সুযোগ ছিলো!! অল্পের
জন্য হলোনা রে।
আমাদেরকে বরং দেখতে হবে দোষটা কি শাহবাগের?? সব
দোষ আসলে তো আওয়ামী লীগের, বিএনপির,
জামায়াতের, মঙ্গলগ্রহের, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর,
ভিয়েতনাম যুদ্ধের, ক্লাশ স্ট্রাগলের, আরো কত কিছুর!
উফফফ!!
হাহাহাহাহাহাহ। স্রেফ মুচকি হাসি আসে।
নাড়ির টান বড় টান। দালালী না করলে বাঙালীর ভাত
হজম হয়না। মেরেছো কলসির কানা, তাই বলে কি প্রেম
দেবো না? এই হলো বাঙালীর মাথায় অটো সাজেশন
দিয়ে ঢুকিয়ে দেয়া গুপ্তমন্ত্র। স্যার জাফর এবং তার
ফেলো উইজার্ড এর দল এখানে সাকসেসফুল।
বাঙালীকে মুড়ি খাওয়ায় শাহবাগ।
সিংহাসনে বসে থাকে কমান্ডার চাদরবাবা, আর পুতুলের
সুতা ছড়িয়ে থাকে গণভবন পার হয়ে দিল্লীর সাউথ
ব্লকে।
দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার বঙ্গবন্ধু চাদর সরকারের
ঘাড় ধরে পুলিশ দাবাচ্ছে, এই ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকি।
অভিনয় দেখে কৌতুক ছাড়া অন্য কিছু বোধ করি না।
সাথে সাথে এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সতীর্থ ব্রাদার্সদের
মাত্রাছাড়া উল্লাসে অল্প দু:খবোধও হয়। তবে কি আর
করা? নিদারুণ খরতাপের এ
দিনগুলোতে কয়েকফোটা জলের ছোঁয়ায় যদি একটু আনন্দ
হয়, তবে তাই হোক। সামনে কি আছে, বিধাতা ছাড়া আর
কে জানে?
ইমরান হলো আওয়ামীলীগের রোপণ করা পুতুল। প্রকাশ্য
স্লিপার এজেন্ট। কিভাবে ভুলে যাই সেই শুরুর দিকের
কথা?
কিভাবে সে উড়ে এসে সিংহাসনে জুড়ে বসেছিলো সেই
কথা? এই মোরোনটা যতদিন কমান্ডার হিসেবে জীবিত
থাকবে, ততদিন শাহবাগে যা হবে,
প্রতিটা ছোটখাটো ঘটনাই
হবে আওয়ামী পরিকল্পনা অনুযায়ী। এখন
একটা সম্ভাবনা আছে মোরোনের এক্সপায়ারি ডেট পার
হয়ে যাওয়ার। যদি তাই হয়, তবে তার রিপ্লেসমেন্ট
যে হবে সে হবে আরো বড় পুতুল। শাহবাগের
অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে বেড়ে উঠা পরীক্ষিত পুতুল।
পাশাপাশি, খাঁটি আওয়ামী পরিধির
বাইরে বামপন্থী প্রগতিশীল
গুলো হলো সবচেয়ে বেশি স্বার্থনিচ ধান্দাবাজ।
এরা নিজেরা নিজেরা কল্পিত পুরুষত্ব নিয়ে লাফায়
মাঝে সাঝে। আর ঘুরে ফিরে গিয়ে আত্মসমর্পণ
করে আওয়ামী লীগের কাছে। এখন
যা হচ্ছে তা হলো ঘটনার সুযোগে স্রেফ ছোট ছোট
পুতুলগুলোর ব্যক্তিগত বোঝাপড়া আর প্রত্যেকটা ছোট
ছোট গ্রুপের অস্তিত্বকে উপরের দিকে উঠানোর
প্রাণপন চেষ্টা। পাওয়ার স্ট্রাগল। উপর থেকে ডাক
এসেছে হুলুস্থুল বাঁধিয়ে রাখতে হবে। এ নিয়ে পান্ডিত্য
ফটকানোর কিছু নাই। আপনারা ভ্যাজর ভ্যাজর
করতে থাকেন সবসময়ের মতো,
অথবা দশটা কমান্ডমেন্টস নিয়ে এসে জাতিকে রেঁনেসার
আলো দেখান, বাস্তবতা হলো আপনাদের মেরুদন্ড নাই।
এবং আপনারাও বাটপার শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত, একটু
উৎকৃষ্ট কোয়ালিটির বাটপার। এই যা পার্থক্য।

÷শিয়ালের পেট থেকে ছাগলের জন্ম হয়না কখনো÷
এটা শুরুতেই যারা বুঝেছিলেন তাদেরকে শ্রদ্ধা করি। আর
বাদবাকী আপনাদের জন্য ঘৃণা। আর কত
ভন্ডামী করবেন? চুয়াল্লিশ বছরেও সাধ মেটেনাই?
কেমন বিবেচনা বোধ আপনাদের? বিচারের নামে প্রহসন
করে মিথ্যাচার করে অলরেডি একজন
মানুষকে ফাঁসি দিয়ে দেয়া হয়েছে। তার দোষ
কি এখনো প্রমাণ করা গেছে? পারবেন শাহবাগ ভুল
প্রমাণিত হলে ঐ ভদ্রলোককে জীবিত করতে? প্রাণ
ফিরিয়ে দিতে? না কি এখন পুলিশের
সাথে কতগুলো রাস্তাঘাটে ঘুরঘুর করা গাঞ্জাখোরের মৃদু
ধাক্কাধাক্কি আর ডিয়েসেলারের সামনে কান্না-
চিকিৎসার নাটক করে সে পাপের প্রায়শ্চিত্ত হবে?
ওহে বোকা বাঙালীর দল। কেয়ামত পর্যন্ত কসাই
কাদেরের অট্টহাসি শোনার জন্য বরং নিজের
সন্তানদেরকে প্রস্তুত করেন। অভিশাপ
থেকে একজনেরও মুক্তি মিলবে না।
এপ্রিলের মাঝামাঝি নিস্পত্তি হতে যাচ্ছে সাঈদীর
আপিল শুনানির। তখন মাছ ভাজতে হলে এই সময়
তাওয়ায় তেলের নিচে আগুন দেয়া শুরু করাটা খুব
দরকারী একটা কাজ বটে। সুতরাং, জয়
বাংলা বলে আগে বাড়ো!



Nazmul Huda

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন